ByCholoman24

Apr 26, 2020

লকডাউন শিথিল করল ভারত-পাকিস্তান

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউন বহাল রেখেই কিছু বিধি-নিষেধ শিথিল করেছে ভারত ও পাকিস্তান। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার থেকে আবাসিক এলাকায় ছোট ছোট দোকানপাট খোলার অনুমতি দিয়েছে। তবে সংক্রমণের হটস্পট বলে বিবেচিত এলাকাগুলো এ নির্দেশের বাইরে থাকবে। মদ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় নয় এমন বেশির ভাগ জিনিসের বিক্রি আগের মতোই বন্ধ থাকবে।

শুধু আবাসিক এলাকাই নয়, শহর ও শহরাঞ্চলের বাইরে বিভিন্ন বাজারের দোকানও খোলার অনুমতি দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে মল ও সুপারমার্কেটগুলো বন্ধ থাকবে। যেসব দোকানপাট খোলা যাবে, সেখানে আগের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি কর্মী থাকতে পারবে না। কর্মীদের অবশ্যই মাস্ক ও গ্লাভস পরতে হবে; মানতে হবে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনাও। 
ই-কমার্স সংস্থাগুলোও অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের ডেলিভারি দিতে পারবে, বলা হয়েছে শুক্রবার রাতে দেওয়া নির্দেশনায়। ভারতে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ২৪ হাজার ৫০৬ জনের দেহে কভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৭৭৫-এ। দেশটিতে আগামী ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া আছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায় তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনাও চলছে।

পাকিস্তানে ৯ মে পর্যন্ত লকডাউন দেওয়া থাকলেও দেশটির সরকার শনিবার থেকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা মেনে কিছু শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর অনুমতি দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে জোর তৎপরতা শুরুর কথাও জানিয়েছে দেশটি। ‘আক্রান্ত এবং তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পৃথক করার মাধ্যমে আমরা যেমন সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, তেমনি অর্থনীতিকে সচল করে লোকজনকে কাজে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে পারব’, বলেছেন পাকিস্তানের পরিকল্পনা মন্ত্রী আসাদ উমর।

রমজান মাসে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার ওপরই সরকারের পরবর্তী সব সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলেও জানান করোনাভাইরাস মোকাবেলায় পাকিস্তানের নেওয়া পদক্ষেপসমূহ দেখভাল করা এ মন্ত্রী। দেশটির কর্তৃপক্ষ রমজান উপলক্ষে সিন্ধু প্রদেশ ছাড়া বাকি সব এলাকার মসজিদগুলোও খুলে দিয়েছে। সিন্ধুতে কভিড-১৯ ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে, চিকিৎসকদের এ সতর্কতার পর সেখানকার মসজিদগুলোর ওপর বিধি-নিষেধ বহাল রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। শনিবার সকাল পর্যন্ত দেশটির ১১ হাজার ৯৪০ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে; মৃত্যু ছাড়িয়েছে আড়াই শ। সূত্র : রয়টার্স, বিবিসি।