লেখক : কাকলী আক্তার মৌ।
সাংবাদিক;ওমা সে তো সাংঘাতিক
সত্যের কলমে,
সত্যকে তোলে ধরাই যাদের কাজ-
তারাই তো দিন শেষে পরে সত্যের তাজ।
কথা বলছি এমন একটি মহৎ পেশার;
যাকে কোন বিশেষণেই বিশেষায়িত করা যায় না।
যারা কখনোই কোন কিছুকেই ভয় পায় না-
ছুটে চলে সত্য উন্মোচনে।
চোখ রাঙ্গানি,অস্ত্রের ঝনঝনানি যাদেরকে কখনোই-
দাবিয়ে রাখতে পারে না।
যাদের কারণেই;সমাজে ঘটে যাওয়া সকল নিয়ম,
অনিয়ম,অনাচার,অবিচার,অসঙ্গতি-
সমাজের মানুষের নজরে আসে।
সমাজের অসঙ্গতি তুলে আনার জন্য অনেক সময়-
যাদেরকে লাঞ্চিত,অপমানিত,গায়ে আঘাত,কারা বাস-
এমন কি খুন পর্যন্ত হতে হয়।
মিথ্যা মামলার বোঝাও গায়ে নিতে হয়-
পরিবারকে হতে হয় নিঃস্ব,নিগৃহীত;এমন কি তারা-
বিচার পর্যন্তও পায় না।
হুমকি,ধমকি,চোখ রাঙ্গানি;যাদের নিত্য দিনের সাথী।
এমন কি;অনেক সময় মিথ্যা অপবাদও-
যাদের গায়ে মাখতে হয়।
যারা এমনি কষ্টে বাস করে যে,দূর্যোগ মহামারীতেও-
তাদের খোজ;কেউ নিতে যায় না।
সত্য প্রকাশের কারনে যাদের বন্ধু কম;
শত্রুর সংখ্যাই বেশি থাকে।
তাই বলে,তারা কখনোই দায়িত্ব,কর্মে-
অবহেলা বা পিছ পা হয় না।
এই হল একজন সত্যিকারের সাংবাদিকের রোজনামচা।
তাদের কর্ম ও দায়িত্বের কারনে সমাজের চোর-ছ্যাচর,
ঘুষখোড়,দূর্নীতিকারীরা সবসময় ভয়ে ভীত থাকে;
বিপরীত চিত্রও আছে,যা সংখ্যায় নগন্য।
হ্যা,সমাজে সব পেশাতেই কিছু কলঙ্কিত লোক থাকে-
সে জন্য সম্পূর্ণ পেশাকে দায়ী করা যায় না।
সৎ সাংবাদিকতার ভীড়ে;
হলুদ সাংবাদিকের সংখ্যা অতি নগন্য।
আমি ঐ সকল সৎ সাংবাদিকের সাহসিকতা,কর্মকে-
বিনম্র শ্রদ্ধা ও স্যালুট জানাই।
তাদের সৎ কর্মের অনুপ্রেরনাই সমাজের-
কালো অধ্যায় বিনাশে সক্ষম।
গবেষণার কলম থেকে কাকলী আক্তার মৌ এর সৎ সাংবাদিকদের জন্য উৎস্বর্গকৃত।