সুনামগঞ্জ জেলার দোয়ারাবাজার উপজেলার দোহালিয়া ইউনিয়নস্থ শিবপুর গ্রামের মরহুম শামসুদ্দীনের ছেলে কুয়েত প্রবাসী হাফিজ মাওলানা রশীদ আহমদের স্ত্রী তালাকের ঘটনা মিথ্যা-বানোয়াটভাবে প্রচার হচ্ছে বলে দাবি জানান প্রবাসী রশীদ আহমদ।

তিনি বলেন, ২০১৩ সালে কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার ইছাকলস গ্রামের হারুনুর রশীদের মেয়ে স্বপ্না বেগমের (২৬) সাথে আমি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।বিয়ে পর থেকেই দেখা যায় আমার স্ত্রী স্বপ্না বেগম মানসিক রোগে আক্রান্ত! অনেক চিকিৎসা ও পরিক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েও কোন ফলাফল পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে আল্লাহর রহমতে আমরা দুই কন্যাসন্তানের জনকজননী হই। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমার স্ত্রীর সন্তাদের প্রতি কোন খেয়াল ছিলোনা কারণ দিনদিন তার উন্মাদনার মাত্রাটা বেড়েই যাচ্ছিলো। এই সুবাদে আমার সন্তানদের লালনপালন করে আমার শ্যালিকা আকলিমা বেগম।

হাফিজ রশীদ আহমদ আরো বলেন, আমি প্রবাসে অন্যদিকে আমার স্ত্রী একজন মানসিক রোগী হওয়ার কারণে আমার শ্যালিকা আকলিমা বেগম সবসময় তার বোনজীদের লালনপালন করে আর তারাও তাদের খালা ব্যতীত অন্যকিছু বুঝতে চায়না। তাই তাদের দেখাশোনার ব্যাঘাত ঘটবে বলে এখন তার বিবাহের ব্যাপারে না ভাবার জন্য সে তার পরিবারের কাছে প্রস্তাব রাখে।

কুয়েত প্রবাসী রশীদ আহমদ বলেন, গত কুরবানির ঈদের পরে আমার শ্যালিকা আমার বাড়িতে বেড়াতে আসলে তার বড়ভাই জাকারিয়া উগ্র মনোভাব নিয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালায় ও আমার শ্যালিকা আকলিমাকে মারধর করে। আমার স্ত্রীর ভাই জাকারিয়া দলবল, অস্র ও মরিচের প্যাকেট নিয়ে বিষয়টি ঘোলাটে করার কারণে পরকীয়ার নামে অপবাদ আমার উপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমি কোনকিছুর সাথে জড়িত নই। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং অনতিবিলম্বে বানোয়াট সংবাদ প্রচারণা থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি।

তিনি আরোও জানান, আমার স্ত্রীর ভাই জাকারিয়া একজন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক।তার চাচাতো ভাইকে ধারালো অস্র দিয়ে হামলা করার কারণে স্থানীয় থানায় তার নামে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও তার চাচাকে জখমি করার অভিযোগ তার নামে আছে। তার এই উগ্রতার কারণে আমার শ্যালিকা আকলিমা তার বাবার বাড়িতে যেতে না চাইলে তাকে অস্র দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা চালায়।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রশীদ আহমদের স্ত্রী গুরুতর উন্মাদ ছিলেন,তার পাগলামির কারণে অবুজ দুই শিশু ও  রশীদ আহমদসহ পরিবারে সবাই সবসময় আতংকিত থাকতেন। রশীদ আহমদ তার স্ত্রীর পাগলামির কারণে তাকে নিয়ে একের পর এক ডাক্তার-কবিরাজের কাছে ছুটতে থাকেন ও অবুজ দুই কন্যাকে নিয়ে পেরেশানিতে থাকতেন।স্ত্রীর উন্মাদনা ও সন্তানদের কথা বিবেচনা করে মুরব্বীদের নির্দেশে স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে তিনি বাধ্য হোন।