সংবিধান থেকে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা লেখা চালু করার দাবিতে মাইনরিটি সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষের লিগ্যাল নোটিশ পাঠানোর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহসভাপতি, খতিবে বাঙ্গাল আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব দা:বা:

মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা জুনায়েদ আল হাবীব বলেন, রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের মতো একটি মীমাংসিত ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার পায়তারা করা হচ্ছে ৷ রাষ্ট্রধর্ম ইস্যুটি ২০১৬ সালে মাননীয় আদালত মীমাংসা করে দিয়েছেন। তাই এই বিষয়ে নতুন করে বিতর্ক তোলার কোনও যৌক্তিকতা নেই।

খতীবে বাঙ্গাল বলেন,এই দেশ মুসলমানের দেশ। এই দেশ পীর আউলিয়াদের দেশ, আলেম উলামার দেশ, মসজিদ-মাদ্রাসার দেশ ৷ এই দেশে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ছিলো, আছে ও থাকবে, ইনশাআল্লাহ! অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা এদেশে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ও শান্তি এবং নিরাপত্তার সাথে বসবাস করছে এবং করবে ৷ যারা রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিলের নোটিশ দেয় ও আবদার করে তারা দেশে শান্তি শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা কে বিনষ্ট করতে চায় ৷ যাহা রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল।

সুতরাং রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বাতিল করা কোন ভাবে সম্ভব নয় ৷ এদেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা তা বরদাশত করবে না। নিজের জীবন বাজি রেখে রাজপথে নেমে আসতে বাধ্য হবে ৷

আল্লামা আল হাবীব আরো বলেন, ধর্মপ্রাণ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলেই এদেশের রাজনীতিবিদ ও রাজনৈতিক দলগুলো বরাবরই তাদের ধার্মিক চরিত্রটি ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। ফলে ক্ষমতার পালাবদলের পরিক্রমায় ডান-বাম নানা মতাদর্শের ব্যক্তি বা গোষ্ঠী বিভিন্ন সময় ক্ষমতাসীন হলেও রাষ্ট্রধর্ম পরিবর্তনের দুঃসাহসটি দেখাননি। বরঞ্চ সারাবছর সমাজতন্ত্রের বুলি আওড়ানো কমরেডরাও নির্বাচন এলে মাথায় টুপি চেপে মসজিদে প্রবেশ করেন।

সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে খতীবে বাঙ্গাল বলেন, যারা এই দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতি নিয়ে তামাশা করতে চায়, তাদের কঠোর হস্তে দমন করুণ। মীমাংসিত ইস্যুতে নতুন করে বিতর্ক তুলে কারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তা খুঁজে বের করুন। অন্যথায় দেশের সর্বস্তরের মুসলিম জনতা পূর্বের ন্যায় আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।