বিয়ের প্রলোভনে কিশোরগঞ্জ থেকে সিলেটে এনে এক নারীকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল (১৩ জুলাই) বুধবার এ বিষয়ে সিলেটের বিমানববন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। তিনি জানান, তাকে সিলেটের একটি চা বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে ৯ জন মিলে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভৈরবের ওই নারীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হয় সিলেটের জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬)। এক পর্যায়ে জাবেদ তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। এতে ওই নারী আপত্তি জানালেও পরে জাবেদের কথায় বিশ্বাস করে রাজী হন। জাবেদের কথায় গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় বাড়ি ছেড়ে তিনি সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ন রশিদ চত্বরে আসেন।

সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার উপর একটি ছাউনির ভিতর নিয়ে যান তাকে। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন ফয়সল আহমদ (২২), রাসেল আহমদ (২৪), জামিল আহমদ (২২) নামে তিনজন। এই চারজন ভয় দেখিয়ে ওই নারীকে ধর্ষণ করে।

টানা তিন দিন তারা চার জন মিলে তাকে ধর্ষণ করেন। জাবেদ তার মোবাইল ফোনসহ ব্যাগে ভর্তি কাপড় ও দরকারী কাগজপত্রও ছিনিয়ে নেন। এজাহারে ওই নারী আরও অভিযোগ করেন, ১৩ জুলাই সকাল অনুমান ৬ টার দিকে রুবেল (২৫), ইমাম (২৫), ফারুক (২৩), মো. মোশাহিদ আহমদ (২৭) ও আবুল (২৬) নামে পাঁচ ব্যক্তি সেখানে যান।

তখন জাবেদসহ অন্যরা ওই পাঁচ জনের কাছে তাকে সমজিয়ে দিয়ে চলে যান। এরপর ওই পাঁচ ব্যক্তি পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর গত মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে তাকে ফেলে সবাই চলে গেলে চা বাগানের ওই নির্জন স্থান থেকে বেরিয়ে আসেন ওই নারী। এরপর রাস্তায় একজন লোকের সহায়তায় নিজের খালাতো বোনকে ফোন দিয়ে বিস্তারিত জানান।

সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্লাহ তাহের বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিমানবন্দর থানায় এসে ওই নারী মৌখিক অভিযোগ দেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে বুরজান চা বাগান এলাকা থেকে জামেদ আহমদ জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে আটক করা হয়। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ফয়সল আহমদ ও রাসেল আহমদকে আটক করা হয়।

আশরাফউল্লাহ তাহের বলেন, ধর্ষণের শিকার নারী গতকাল বুধবার বিমানবন্দর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এই ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অভিযুক্ত বাকী ৫ জনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। অভিযোগকারী নারীকে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।