কায়িদে জমিয়ত, মুফাক্কিরে ইসলাম আল্লামা মুফতি ফযলুর রহমান দা.বা.। সারাবিশ্বে রাজনীতিবীদদের মধ্যথেকে তেরতম রাজনৈতিক সচেতন ব্যক্তিত্ব। এশিয়া মহাদেশের মধ্যে পঞ্চম ব্যক্তি। আর গোটা পাকিস্তানে রাজনীতিবীদদের মধ্যথেকে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি বাকী সবার চেয়ে বেশি রাজনীতি বুঝেন। অর্থাৎ একাই একশো। এটা আমার কথা নয় বরং বিশ্বের নামকরা একটি পত্রিকার জরিপ করা কথা।

আল্লামা মুফতী ফযলুর রহমান দা.বা.। খান্দানী রাজনীতিবীদ। তাঁর অস্থিমজ্জায় প্রবাহিত রয়েছে পাকিস্তানের সাবেক তুখোড় রাজনীতিবীদ, সীমান্ত প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী আল্লামা মুফতী মাহমূদ রাহ. এর শোণিতধারা। যিনি ছিলেন মুসলিম মিল্লাতের এক দরদী রাহবার। তাঁরই সুযোগ্য সাহেবজাদা আজকের দুনিয়াকাপাঁনো বীর সিপাহসালার কায়িদে মিল্লাত, কায়িদে জমিয়ত আল্লামা মুফতী ফযলুর রহমান দা.বা.।

পিতাজীর পদাঙ্কনুসরণ করে তিনিও রাজনীতির ময়দানে জড়িয়ে পড়েন। দ্বীন ও মিল্লাতের স্বার্থে নিজেকে সপেঁ দেন রাজনীতির মতো পিচ্ছিল ময়দানে। আকাবীর ও আসলাফের হাতেগড়া একমাত্র ইসলামী সংগঠন জমিয়তের প্রচার-প্রসার ও জমিয়তের মাধ্যমেই আল্লাহর যমিনে আল্লাহর নেযাম বাস্তবায়নের প্রচেষ্ঠায় ব্রতী হন। দেশি-বিদেশী ও আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধীদের সমূহ কূটচক্রান্তের জবাব দিতে তিনিই সাহসী ভূমিকা পালন করতে কখনো পিছপা হন নি। বীর বাহাদুরের মতো তাদের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েন। এতে কারো চোখরাঙানীকে তিনি পরোয়া করেন না।

ইসলাম-মুসলমানের পক্ষে সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখেন। উম্মাহর চিন্তায় নির্ঘুম থাকেন প্রায় সময়। ইহুদি-নাসারাদের কাছে তিনি যমদূত। ইসলামি সংস্কৃতি রক্ষাকল্পে তিনি এক মহানায়ক। তাঁর তুলনা তিনি নিজেই। তাঁর প্রতিটি কথা এবং কর্ম আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যস্তসময় কাটানো। একমাত্র দ্বীন ও মিল্লাতের তরে তাঁর একেকটি কথা ইসলামবিদ্বেষীদের গায়ে কাটার মতো লাগে। মনে হয় যেনো এটা কথা নয় বরং একেকটি এটমবোম।

একবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী পারভেজ মোশাররফ কাওমী মাদরাসায় তালা লাগানোর কথা বলেছিলেন। তখন তার এ কথার জবাবে বাঘের মতো হুঙ্কার দিয়ে বলেছিলেন- “পারভেজ মোশাররফ! এখন মুফতী মাহমূদের যামানা নয়। এখন মুফতী ফযলুর রহমানের যামানা। যে ব্যক্তি কওমী মাদরাসার বিরুদ্ধে চক্ষু তুলে তাকাবে, তার চক্ষু কানা করে দেওয়া হবে”। এ গর্জন শুনে পারভেজ মোশাররফের আর সাহস হয়ে উঠেনি কাওমী মাদরাসাসমূহে তালা লাগানোর।

আল্লামা মুফতী ফযলুর রহমান দা.বা. ইসলাম বিরোধীদের আতঙ্ক। তাইতো কতোবার তাঁর উপর হামলা করেছে ওই পাপিষ্ঠ শয়তানেরা। আত্মঘাতি হামলা ও ড্রোনহামলাসহ কতধরণের হামলা করেছে তার কোনো হিসেব নেই। দু’বৎসর আগেও তাঁর গাড়িতে হামলা করেছে আততায়ীরা। আল্লাহর রহমাত ও নুসরাত তাঁর সঙ্গে থাকে। বিধায় প্রতিটা আক্রমণ থেকে অল্পের জন্যে বেঁচে যান। এমনকি তাঁর সফরসঙ্গীদের মধ্যে অনেকে প্রাণ হারান। তাঁরা শাহাদাত বরণ করেন।

তাঁকে বাঁচিয়ে রাখা আল্লাহর মনশা। তাঁর থেকে উম্মাহর খিদমাত নেয়া আল্লাহর ইচ্ছা। তাই তো তিনি তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ! তিনিও উম্মাহের খিদমাতে নিবেদিতপ্রাণ। ইসলাম ও মুসলমানের কল্যাণে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন। হর রোজ। হরদম। তাঁর আহবানে,তাঁর কথায়,তাঁর আবেদনে মুসলিমবিশ্বের ধর্মীয় রাহবাররা এক মঞ্চে বসেন। পালন করেন বিভিন্ন কর্মসূচী। যা বিশ্ববাসী নিজ চোখে দেখে আসছে।

আল্লামা মুফতী ফযলুর রহমান দা.বা.। আকাবির ও আসলাফের আমানত জমিয়তের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছেন। জমিয়তের কাজকে সারা পাকিস্তানের প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় বিস্তার করেছেন। জমিয়তকেই পাকিস্তানের প্রধানবিরোধী দলে রূপান্তরিত করেছেন। সংসদেও জমিয়ত ও উকাবে রাসূলের সম্মান বজায় রেখেছেন। সমুন্নত করেছেন শাজারায়ে তায়্যিবার শিকড়।

পাকিস্তান জাতীয় পরিষদে জমিয়তের অনেক এম.পি-মন্ত্রী রয়েছেন। সাবেক স্পিকার মাওলানা আবদুল গফুর হায়দারী জমিয়তের সেক্রেটারি। পাকিস্তানের মাটিতে জমিয়তকে গণ-সংগঠনে পরিণত করেছেন। নেতৃত্বের ময়দানে তিনি একজন বিচক্ষণ নেতা। তীক্ষ্ণ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। তাঁর সুচারুরূপে বলিষ্ঠ নেতৃত্বদানের কারণে আজ জমিয়ত একটি শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে বিশ্বের মধ্যে দেওবন্দী উলামায়ে কেরামের তরজুমানী করে আসছে। আলহামদুলিল্লাহ! সুম্মা আলহামদু লিল্লাহ!!

গত বছর। ২০১৭ ঈসায়ি সালের ৭-৮ ও ৯ এপ্রিলের আলমী সদ সালা ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী জনসমাগমের চিত্র যার বাস্তব প্রমাণ বহণ করছে। এ জনসমূদ্র বিশ্ববাসীর কাছে মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। দেশে দেশে আকাবিরদের রেখে যাওয়া আমানত জমিয়ত কর্মীদের কর্মস্পৃহা বাড়াবে। জমিয়তের প্রচার-প্রসারে কর্মীদের মনে প্রেরণা যোগাবে। নবউদ্যমে কাজ করার মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে। ফা-লিল্লাহিল হামদ্!