চলমান২৪:: দেশ থেকে অ’বৈধ হুন্ডির মাধ্যমে ৪৫০ কোটি টাকা ভারতে পা’চার, ঘু’ষ আ’দায় ও চোরাই গবাদিপশুর অ’বৈধ হাট বসিয়ে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁ’কির অ’ভিযোগে সিলেটের আলোচিত ওসি আহাদ এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রলীগ-ছাত্রদল নেতাসহ ১১ জনের বি’রু’দ্ধে মা’মলা হয়েছে।
সোমবার (১৪ অক্টোবর) সিলেটের সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং জে’লা ও দায়রা জজ বজলুর রহমান মা’মলা আমলে নিয়ে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে দুর্নীতি দমন কমিশন, সিলেটকে নির্দেশ দিয়েছেন।
গত ১০ অক্টোবর আইনজীবী এম মঈনুল হক বুলবুলের দায়ের করা মা’মলা আমলে নিয়ে বিচারক এ রায় দিয়েছেন। আ’দালতসূত্র জানায়, ১০ ও ১৩ অক্টোবর মা’মলার দুদফা শুনানি শেষে সোমবার সিনিয়র স্পেশাল জজ এবং সিলেটের জে’লা ও দায়রা জজ মো. বজলুর রহমান এ মা’মলা আমলে নিয়ে দুদক সিলেটের উপপরিচালককে আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন।
মা’মলার আ’সামিরা হলেন- কানাইঘাটের দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল, দর্পনগর পশ্চিম গ্রামের তাজিম উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম জহির, মো. আবু রায়হান পাভেল, মুসলিম উদ্দিন, মাছুগ্রাম গ্রামের এম মামুন উদ্দিন, দক্ষিণ কুয়রেরমাটি গ্রামের শাহাব উদ্দিন এবং কানাইঘাট থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ ও গোয়াইনঘাট থানার বর্তমান অফিসার ইনচার্জ পু’লিশ পরিদর্শক মো. আবদুল আহাদ।
এছাড়া মা’মলার অন্যতম আ’সামি পু’লিশ পরিদর্শক মো. আবদুল আহাদ দুই মাস আগে সিলেটের গোয়াইনঘাট থানায় যোগদান করেন। রোববার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখায় পু’লিশ বিভাগের পক্ষ থেকে তাকে জে’লার শ্রেষ্ঠ ওসির সম্মাননা দেন পু’লিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন।
সম্মাননা পাওয়ার একদিন পরই তার বি’রু’দ্ধে দু’র্নীতির মা’মলা হলো। এর আগে তিনি কানাইঘাটে দায়িত্বপ্রা’প্ত ছিলেন। সেখানেই আবদুল আহাদ দু’র্নীতি করেন বলে অ’ভিযোগ করা হয়েছে।
মা’মলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ অক্টোবর পর্যন্ত সিলেটের কানাইঘাট উপজে’লার সড়কের বাজারে আবদুল গফুর ওয়াকফ স্টেটের ভূমি ব্যবহার করে কানাইঘাট থানার তৎকালীন ওসি মো. আবদুল আহাদের প্রত্যক্ষ ম’দদে দীঘিরপাড় পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল ও সিলেট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি তাজিম উদ্দিনের নেতৃত্বে জে’লা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি এম মামুন উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে দীঘিরপাড় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো আবু রায়হান পাভেলকে বাজারের হাসিল আ’দায়কারী সাজিয়ে অ’বৈধ পশুর হাট বসিয়ে পু’লিশ ও বিজিবির নামে ঘু’ষের টাকা আ’দায় করেন।
এ বাজারে ভারত থেকে গবাদিপশু চোরাইভাবে আনতে বাংলাদেশি ৪৫০ কোটি টাকা আলী হোসেন কাজল ও তাজিম উদ্দিন তাদের নিযুক্ত লোকজন দিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে ভারতে পা’চার করেন। টাকা পা’চার ও চোরাচা’লানের পশুর হাট পরিচালনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নামে সাড়ে ৪ কোটি টাকা এ অ’বৈধ বাজার থেকে আ’দায় করা হয়। মা’মলার বাদী এম মঈনুল হক বুলবুল জানান, গত ১ আগস্ট এ বাজারে কোরবানির পশু কিনতে গেলে তার কাছেও আ’সামিরা পু’লিশের লাইনের (ঘু’ষ) নামে ৮০০ টাকা ঘু’ষ দাবি করেন।
এ নিয়ে কথাকা’টাকাটি হলে বি’ষয়টি ওসি মো. আবদুল আহাদকে জানালে তিনি এর কোনো প্র’তিকার না করে ম্যানেজ করে নেওয়ার পরামর’্শ দেন। এর পরই বিশাল দু’র্নীতির বি’ষয়টি তার নজরে এলে তিনি ১৮ আগস্ট দু’র্নীতি দমন কমিশনের স”ঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আ’দালতে মা’মলা করেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুব হুসাইন জানান, এটি একটি বড় দু’র্নীতির মা’মলা। এ মুহূর্তে দেশের সবচেয়ে বড় চোরাচা’লনের গরুর হাট এটি। প্রতিদিন শত শত ট্রাকে এ বাজার থেকে সিলেট ও দেশের বিভিন্ন স্থানে চোরাচা’লানের গরু সরবরাহ করা হয়।
অ’ভিযোগের বি’ষয়ে ওসি আবদুল আহাদ বলেন, আ’দালত কী আদেশ দিয়েছেন, অ’ভিযোগের ভিত্তি কী তা আপনাদের যাচাই করে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। বাদীর স”ঙ্গে আমা’র একটু দূরত্ব রয়েছে। আমি যদি ৪৫০ কোটি টাকা পা’চার করে থাকি, তা হলে এখনই আমাকে নজরব’ন্দি করা উচিত। তিনি বলেন, আমা’র বি’রু’দ্ধে যে অ’ভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।
সূত্র: https://newslife24.com/news/57662