চলমান২৪:: ফিলিস্তিন দখল করে তৈরি করা ইহুদিবাদী ইসরাইলের আর্মি বাহিনী গত বিশ বছরে (২০০০ সাল থেকে ২০২০) ১৭ হাজারের অধিক ফিলিস্তিনি কিশোর-কিশোরীকে (১২ থেকে ১৮ বছরের মধ্যে) বিনা অপরাধে বন্দি করেছে বলে জানিয়েছে একটি মানবাধিকার সংগঠন।
ফিলিস্তিনি বন্দিদের নিয়ে কাজ করা ওই মানবাধিকার সংগঠনের প্রধান কাদরী আবু বকর বলেছেন, ইসরাইল আর্মির নিয়ন্ত্রনাধীন ওফার, মোগিদ্দো ও দামোন কারাগারে প্রায় ২০০ ফিলিস্তিনি কিশোর রয়েছে যারা অমানবিক অবস্থায় বন্দি আছে। যেখানে শিশুদের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। যা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান লঙ্ঘন করে।
কাদরী আবু বাকের গত শনিবার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেছিলেন যে, ফিলিস্তিনি শিশু-কিশোরদের উপর এই দখলদার রাষ্ট্রটি ভয়াবহ নির্যাতন চালাচ্ছে এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক শিশু কিশোর অধিকার সুরক্ষা করা সংগঠনগুলো তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি যা দুঃখজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে যে, ২০০০ সালের পর থেকে দখলদার রাষ্ট্রটি ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যে কমপক্ষে ১৭,০০০ ফিলিস্তিনি কিশোর-কিশোরিকে বন্দি করেছে। এমনকি কিছু কিছু ক্ষেত্রে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুদের গ্রেফতারেরও অনেকগুলি খবর পাওয়া গেছে।
আবু বাকর ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন যে, জেরুসালেমে সর্বাধিক সংখ্যক কারাবন্দী শিশুরা রয়েছে। এবং প্রতিদিনই জেরুসালেমের শিশুরা ইসরাইলীদের হাতে গ্রেপ্তার ও অবৈধভাবে আটক হয়। এমনকি জেরুজালেমে ফিলিস্তিনি শিশুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার করে জরিমানা এবং নির্বাসনের মত শাস্তিও প্রয়োগ করা হয়।
তিনি বলেছিলেন যে জেরুজালেমে শিশুদের টার্গেট করার মূল লক্ষ হচ্ছে ফিলিস্তিনের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির সাথে পরবর্তি প্রজন্মের সংযোগ তৈরিতে বাধা প্রদান করা। এবং পবিত্র শহর হিসেবে বিবেচিত ‘জেরুসালেমকে’ অন্যান্য ফিলিস্তিনি শহর থেকে আলাদা করার জন্য ইসরাইলের একটি হিংস্র নীতিমালার অংশ।
আবু বাকর জাতিসংঘের সেক্রেটারি-জেনারেল, মানবাধিকার কাউন্সিল এবং সমস্ত আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি বিশেষত ইউনিসেফ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালকে আহবান করে বলেছেন, তারা যেন এসকল শিশুকে দ্রুত মুক্তি দিতে দখলদার এই ইসরাইল রাষ্ট্রের প্রতি কঠোর চাপ প্রয়োগ করে এবং কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। কারন ইসরাইলের কাছে ফিলিস্তিনি বন্দীদের, বিশেষত শিশুদের জীবন ভয়ানকভাবে বিপন্ন অবস্থায় আছে।
কুদস নিউজ অবলম্বনে হাছিব আর রহমান।