বাজেটে সিগারেট, বিড়ি ও তামাকজাত অন্যান্য পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবে কে স্বাগত জানিয়েছেন নারীরা। এসব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ‘খুশি’ তারা। শুল্ক আরো বাড়ানো যেতে পারতো বলেও মনে করেন অনেকে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এতে সিগারেটের প্রতি শলাকার মূল্য সর্বোচ্চ ১২ টাকা ৩০ পয়সা এবং সর্বনিম্ন ৩ টাকা ৭০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়।
এছাড়াও বিড়ি, জর্দা, গুলসহ প্রায় সবধরনের তামাকজাত পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
এসব পণ্যের ওপর এমন শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে দেখছেন নারীরা। এ বিষয়ে বিভিন্ন নারীর প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে এটিকে সাধুবাদ জানান তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও অনেক নারী শুল্কের পরিমাণ আরো বাড়ানোর দাবি জানিয়ে পোস্ট দিয়েছেন।
রাজধানীর আজিমপুর এলাকার গৃহিণী হালিমা ইয়াসমিন মুক্তা। বাজেটে সিগারেটের ওপর শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাবে তার স্বামী খালিদ সাইফুল্লাহ সিগারেট কম সেবন করবেন বলে মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, গত বছরেও সিগারেটের দাম বেড়েছিল। তারপর থেকে কিছু কম সিগারেট খেতে দেখেছি আমার স্বামীকে। এবার দাম আরো কিছু বাড়ায় হয়তো তার ধূমপান কিছু কমবে। একেবারে থেমে গেলেই ভালো হতো।
মিরপুরের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সুমাইয়া মিম বলেন, আমার ভাই সিগারেট খায়। সেও স্টুডেন্ট। বাসার লোকদের থেকে লুকিয়ে লুকিয়ে খায়। যেটুকু পকেটমানি পায় তার বেশিরভাগ এই সিগারেটের পেছনে অপচয় করে।
তাহসিন তুবা নামে একজন তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, এটুকু দাম বাড়লে তামাক সেবনের মাত্রা কমবে না। দামটা আরো বেশি হারে বাড়ানো যেত।
ডেইলি বাংলাদেশ/আরএ