বিশেষ প্রতিনিধিঃ রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টস (আর.এস.এ) সাধারনত সামাজিক অগ্রগতি এবং বিকাশে অসামান্য সাফল্য অর্জন করা ব্যক্তিদের সম্মান পূর্বক ফেলোশিপ প্রদান করে থাকে। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সমর্থন করে কাজ করার অঙ্গীকার এবং সামাজিক পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্যে ছাতকের কৃতি সন্তান, জিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান, জিজি নিউজ টিভির সম্পাদক ও প্রকাশক – আবু সাদিক মারুফকে এবছর ফেলো হিসেবে নির্বাচিত করেছে রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টস (আর.এস.এ)।

ফেলোশিপ সনদের অফিসিয়াল ভাষ্যমতে এই পুরষ্কারটি বিশ্বজুড়ে ব্যতিক্রমী ব্যক্তিদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেয় যারা কলা, উৎপাদন ও বাণিজ্য সম্পর্কিত কাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। অতীত এবং বর্তমান ফেলো হিসাবে গত ২৬৭ বছর ধরে বিভিন্ন শীর্ষস্থানীয় সামাজিক কর্মী, উদ্যোক্তা, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিক এবং রাজনীতিবিদ যারা তাদের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করেছে আর এস এ। যারা এর ফেলো হিসাবে নির্বাচিত হন তারা নামের শেষে এফআরএসএ (FRSA) খেতাব ব্যবহার করতে পারেন। ফেলোশিপ বিশ্বজুড়ে সমাদৃত একটি সম্মান এবং বিশেষাধিকার হিসাবে বিবেচিত হয়।

১৭৫৪ সালে উইলিয়াম শিপ্লে কর্তৃক সোসাইটি ফর দ্যা এনক্যারেজমেন্ট অব আর্টস, ম্যানুফ্যাকচারস অ্যান্ড কমার্স প্রতিষ্ঠিত হয় যা পরবর্তীতে রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টস (আর.এস.এ) হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। ফেলোশিপের পাশাপাশি এটি আরো তিনটি পদক প্রদান করে – আলবার্ট পদক, বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন পদক এবং বাইসেন্টেনারি পদক। প্রতিষ্ঠা সনদে প্রকাশিত মিশন ছিল “এন্টারপ্রাইজকে উত্সাহিত করা, বিজ্ঞানকে প্রসারিত করা, শিল্পকে পরিমার্জিত করা, নির্মাণশিল্পের উন্নতি করা এবং বাণিজ্য সম্প্রসারণ করা”।

বর্তমানে আর.এস.এ নিজেকে একটি আলোকিত সংস্থা হিসাবে চিহ্নিত করে যা আজকের পৃথিবীর সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলির উদ্ভাবনীয় এবং কার্যকরী সমাধান খুঁজে পেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ পর্যন্ত রয়্যাল সোসাইটি অব আর্টস বিশ্বের ৮০ টি দেশ থেকে বিভিন্ন সময়ে ফেলো নির্বাচিত করেছে। উল্লেখযোগ্য আর.এস.এ ফেলো হিসাবে স্টিফেন হকিং, চার্লস ডিকেন্স, কার্ল মার্কস, অ্যাডাম স্মিথ, বেঞ্জামিন ফ্র্যাঙ্কলিন এবং নেলসন ম্যান্ডেলার নাম সবার উপরে চলে আসে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত প্রতিষ্টানটির বর্তমান পৃষ্ঠপোষক হলেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং এর সভাপতি রয়েল প্রিন্সেস অ্যান।