চলমান২৪ঃ প্রনোদনা চু‌রির পায়তারা…
এত দিন শু‌নে আস‌ছি ত্রান চু‌রি,চাল চু‌রি;
এখন কথা বলব অ‌ভিনব এক চু‌রির কথা-
প্রনোদনা চু‌রি এবং চু‌রির ধরন নি‌য়ে।
এ যেন এক শৈ‌ল্পিক হ‌রিলুটের অ‌ভিনব খেলা…

হ্যা কথা বল‌ছি,এমন এক‌টি বিষয় নিয়ে,
যা আমা‌দের দি‌নে দি‌নে ভা‌বি‌য়ে তুল‌ছে।
বিষয়টা‌কে খাট ক‌রে দেখার কোন সু‌যোগ নেই।

দে‌শের ক্রা‌ন্তি ল‌গ্নে বাংলার সু‌যোগ্য প্রধানমন্ত্রী যেখা‌নে-
দিন রাত শ্রম দি‌য়ে দি‌য়ে ক্লান্ত,
তারপরও মানু‌ষের সেবা নি‌শ্চিত কর‌তে ব‌সে নেই,
যেখা‌নে বিভিন্ন রকম প্রনোদনা,সাহায্য ও ত্রা‌নের ব্যবস্থা করছেন-
সেখা‌নে কিছু সু‌যোগ সন্ধানী লোক পায়তারায় রত-
কি ক‌রে প্রনোদনা লু‌টেপু‌টে দেশটা‌কে ছোবড়া করা যায়।

উদাহরন সরূপ ব‌লি,
যে‌দিন থে‌কে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সরকা‌রি কর্মচারী‌দের
বি‌ভিন্ন রকম টাকার প্রণোদনা ঘোষণা কর‌ছেন (ক‌রোনা আক্রান্ত),
সে দিন থে‌কেই দে‌শে তুলনামূলক ভা‌বে সরকা‌রি কর্মচারী-
ক‌রোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বে‌ড়ে চ‌লে‌ছে।
আ‌মি শুধু হ‌বিগ‌ঞ্জের চিত্রটা এখন তু‌লে ধর‌ছি,
জেলায় বর্তমা‌নে মোট ক‌রোনা রোগী ৪৮ জন,
তার ম‌ধ্যে ২৫ জনই সরকা‌রি কর্মচারী।
এটা কি বিশ্বাস যোগ্য ব‌লে ম‌নে হয়?

আপাত দৃ‌ষ্টি‌তে এটা নি‌য়ে য‌থেষ্ট স‌ন্দে‌হের কারন আ‌ছে।
এ বিষয়টার সত্যতার তদন্ত করা অতীব জরুরী।
নতুবা সরকা‌রি অর্থ হ‌রিলুট হওয়ার সম্ভাবনা আ‌ছে।
গতকল্য,ফেসবুক পো‌ষ্টের মাধ্য‌মে জান‌তে পা‌রি-
হ‌বিগ‌ঞ্জের একজন শান্ত‌শিষ্ট অমা‌য়িক ছে‌লে ক‌রোনায় আক্রান্ত।

তখ‌নি সংবাদ সংগ্রহে,
হ‌বিগ‌ঞ্জ সদর হাসপাতা‌লের আ‌শে পা‌শে খোজ নেয়া শুরু ক‌রি,
তখন ক‌য়েক জন‌ ব্য‌ক্তি‌কে ক‌রোনা রোগীর বিষ‌য়ে জি‌জ্ঞেস-
করতেই নাম প্রকা‌শে অ‌নিচ্ছুক ব্য‌ক্তিগন ব‌লেন,
ভাই স‌বি প্রনোদনা প্রা‌প্তির খেলা,দেখ‌বেন ক‌দিন প‌রেই-
প্রনোদনার টাকা হা‌তে আস‌তেই রোগী সুস্থ হ‌য়ে যা‌বে।

এখন আমারও সেরকমই ম‌নে হ‌চ্ছে।
আস‌লেই কি সবাই ক‌রোনা রোগী?
না‌কি রোগী হওয়ার ভান কর‌ছে;
প্রনোদনার টাকা লুটার জন্য?

আ‌মি সবার কথা বল‌ছি না;
ব‌লি‌ছি তা‌দের কথা,যারা সুযো‌গের সন্ধানে আ‌ছে,
কখন সু‌যোগ আস‌বে আর-
ক‌রোনা আক্রা‌ন্তের ভান কর‌বে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ প্রশাস‌নের সকল কর্মকর্তা‌দের-
দৃ‌ষ্টি আকর্ষন কর‌ছি,
সরকা‌রি কর্মচারী‌দের ম‌ধ্যে যারাই ক‌রোনায় আক্রান্ত হওয়ার-
কথা বল‌বে,তা‌দের‌কে যেন স‌ঠিকভা‌বে পরীক্ষা নিরীক্ষা-
ক‌রে দেখা হয়,
য‌দি তা‌দের ম‌ধ্যে ভূয়া কোন ক‌রোনা রোগী পাওয়া যায় তাহ‌লে,
তাদের‌কে যেন তৎক্ষণাৎ আই‌নের আওতায় আনা হয়।
য‌দি এমনটা না করা হয় ত‌বে,
দে‌শের অর্থ হ‌রিলুট হ‌বে;এ‌তে কোন স‌ন্দেহ নাই।

মোঃ হারুনুর র‌শিদ
স্টাফ রি‌পোর্টার
দৈ‌নিক প্রভাকর