এক. বাজারহাট-দোকানপাট সকাল থেকে সাড়ে ৫ ঘটিকা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যাপারে সীমাবদ্ধতা কেন?
দুই. সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত সমস্ত দোকানপাট- বাজারহাট বন্ধ রাখার মধ্যে প্রয়োজন অথবা ফায়দা কি?
তিন. করোনাভাইরাস কি কোন নির্দিষ্ট সময়ে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রাখে?
চার. যেখানে বাজারহাটে ৮-১০ ঘণ্টা অবাধে চলাফেরায় কোন অসুবিধা নেই,সেখানে মসজিদকে অল্প সময়ের জন্য ৫-১০ জন মুসল্লির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার আসল রহস্য কি?
(উপরে উল্লেখিত বিষয়গুলার ব্যাখ্যা প্রশাসনের কাছ থেকে জানার অপেক্ষায় রইলাম)
ছবিগুলা দোয়ারাবাজার উপজেলার নরসিংপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বালিউড়া বাজার থেকে আজ ৪ ঘটিকায় সময় উত্তলোন করা হয়েছে। এই ছবিগুলোর দিকে করলে বুঝতে অসুবিধে হবে না যে,বর্তমানে গ্রাম অঞ্চলের মানুষ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে কতটুকু আইনের তোয়াক্কা করছেন কিংবা প্রশাসনের সহযোগীতা পাচ্ছেন।
জানা থাকা দরকার রাসুল সা.বলেছেন-সর্বোত্তম জায়গা হচ্ছে মসজিদ এবং সর্বনিকৃষ্ট জায়গা হচ্ছে বাজারহাট। বর্তমান পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের মানুষ এক নিদারুণ সময় অতিক্রম করছে। আমরা জানি যে ভাইরাসটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে তার উল্লেখযোগ্য কোন প্রতিষেধক এখনও কেউ তৈরি করতে পারেনি এবং কেউ এটাও জানেনা যে,কতদিন পর্যন্ত এই প্রাণঘাতী ভাইরাসটি পৃথিবীর বুকে স্থায়ী থাকবে।
পরিতাপের বিষয় ৯৬ % মুসলমানের দেশে যে কারণে (কভিড-১৯ প্রতিরোধে)এখন সর্বোত্তম জায়গা মসজিদে মুসল্লি ৫-১০ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ ঠিক একিই কারণে সর্বনিকৃষ্ট জায়গা বাজারহাট ৮-১০ ঘণ্টা মানুষের জন্য উন্মুক্ত। এটা কতটুকু যৌক্তিক নীতি?আমার বুঝে আসেনা।
হাটবাজারের এমন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সম্প্রীত দেশের ১৫ জন শীর্ষস্থানীয় উলাময়ে কেরাম এক বিবৃতিতে মসজিদ উন্মুক্ত করে দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন এবং তাদের বিবৃতিকে সমর্থন জানিয়ে আরোও শতাধিক উলামায়ে কেরাম আবেদন জানিয়েছন। তাদের দাবী যেন অন্তত মসজিদকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। আমাদেরও বিশ্বাস! মসজিদকে উন্মুক্ত করে দেওয়া হোক!! প্রতিনিয়ত পাঁচবেলা মসজিদে জমায়েত হওয়া অকারণে বাজারে জমায়েত হওয়া থেকে লক্ষকোটি গুণ বেশী ফলদায়ক।
আল্লাহ তায়ালা যেন সবাইকে সঠিক বুঝ দান করেন। এবং এই দেশ ও জাতিকে করোনাভাইরাস থেকে হেফাজতে রাখেন। আমিন।

১৬/০৪/২০২০ ইং
এইচ এম জিয়াউর রহমান
ছনখাইড়,ছাতক