হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমির , দেশের ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদরাসার মহা পরিচালক মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী বলেছেন, ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীদের বাইরে চলাচলের সময় হাত-পায় মোজা পরা ও চেহারা ঢাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আপত্তিকর বক্তব্য ইসলাম অবমাননার শামিল,বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে তাওবা করা উচিত

আজ (১৫ জুন) শনিবার সংবাদ মাধ্যমে প্ৰেরিত এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলেন তিনি।

মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বলেন, পর্দা ইসলামের অন্য দশটি ফরজ বিধানের মত একটি জরুরী ও কল্যাণময় বিধান ৷ যা পবিত্র কোরআনের সাতটি আয়াত অর্ধশত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত ৷নামাজ আদায় না করা কবীরাহ গুনাহ ,অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফের ৷অনুরুপ পর্দা বা হিজাব কারো ইচ্ছা না হলে সে করবে না ৷ তাতে তিনি গুনাহগার হবেন ৷কিন্তু মুসলিম হয়ে পর্দার অস্বীকৃতি জানালে সে আর ব্যক্তি মুসলিম থাকতে পারে না ৷

পর্দা নারীর রক্ষাকবচ। পর্দার কারণে নারী জাতি সুরক্ষিত থাকে৷ সমাজে নারী ধর্ষণ ও ইভটিজিং বন্ধ হবে। পর্দা নারীর সম্মান বৃদ্ধি করে। সম্ভ্রম রক্ষা করে। পর্দার বিরুদ্ধে যেকোনো বক্তব্য নারীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

গত ৯ জুন রোববার গণভবনে সংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে ধর্মপ্রাণ মুসলিম নারীদের পর্দার প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “হাত মোজা পা মোজা নাক-চোখ ঢাইকা একেবারে এটা কি? জীবন্ত ট্যান্ট (তাঁবু) হয়ে ঘুরে বেড়ানো, এর তো কোনো মানে হয় না” পর্দা করা ইসলামের আদেশ ,হাত-পা মোজা ও নেকাব মুসলিম পর্দানশীন নারীদের পোশাক ৷তাই প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্য ইসলাম ও মুসলিমদের জন্য অত্যন্ত অবমাননাকর হয়েছে।

এই বক্তব্যে ইসলামের অপরিহার্য বিধান পর্দাকে বাজেভাবে কটাক্ষ করা হয়েছে। পবিত্র কুরআনের পর্দা সম্পর্কীত ৭ আয়াত ও অসংখ্য হাদীসকে অস্বীকার করা হয়েছে ! কোরআনের একটি শব্দ নয় একটি হরফ বা নুক্তাকে অস্বীকার করলে সে আর নিজেকে মুসলমি দাবী করতে পারবে না ৷ দাবী করতে চাইলে তাকে অবশ্যই সহীহ তাওবা করতে হবে ৷

তিনি আরো বলেন, প্রাধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের কারণে ইসলামের পক্ষে ইতঃপূর্বে প্রদত্ত তার সব বক্তব্য ও কাজগুলো এমনকি পবিত্র রমজানে উমরাকালে তার বোরকা ও হিজাব পরিধান জাতির কাছে এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

পর্দানশীন নারীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যমূলক ও মুসলিম সেন্টিমেন্ট বিরোধী এই বক্তব্য প্রত্যাহার করে প্রকাশ্য তাওবা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়ে মাওলানা শাহ মুহিব্বুল্লাহ বলেন, অনতিবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী তাঁর এ বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে ধর্মপ্রাণ জনগণের ক্ষোভের কারণে যেকোনো রকমের কঠিন পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। এবং তার জন্য তিনিই একক দায়ী থাকবেন ৷

মহান প্ৰভুর দরবারে দুআ করে তিনি বলেন, আমি দুআ করি আল্লাহ তাকে সুমতি দান করুন, আমীন ৷

Insaf