কষ্টকে জয় করে স্নিগ্ধ পরশ দিয়ে
টিকে থাকে নারী স্নিগ্ধতা নিয়ে ,
কভু বহিঃপ্রকাশ বহ্নিশিখার আভাস
সংসার গড়ে তুলে ভালোবাসা দিয়ে ।
অবহেলা অপবাদ টিটকারি গঞ্জনা
চলতে পথে হয় কত লাঞ্ছনা !
তবু নয় ক্ষান্ত চলার নেই অন্ত
ব্যথা নিয়ে নিজেকে দেয় সান্তনা ।
কখনো সে পথিক বনে একাকীত্ব নির্জনে
বখাটে ছেলেরা হাতে এসে পড়ে ধরা ,
অশ্লীলতার বাণী দেয় তারে হাতছানি
লজ্জায় নীল হয়ে কোন মতে খাড়া ।
একদিন বলি আমি শোনো তার কাহিনী
স্বামী হারা এক নারী পথও ভিখারি ,
রাস্তায় চলে একা পায়না কারো দেখা
সতীত্ব নিয়ে তার করে কাড়া কাড়ি ।
লম্পট ছেলে ছিল সুযোগে তাকে পেল
শাড়ীর আঁচল ধরে দিল তারে টান ,
চিৎ হয়ে সেই নারী রাস্তার মাঝে পড়ি
উঠেই থাপ্পড় দিল ধরে তার কান ।
বলে তোর নাই ঝি, মা বোন নাই কি ?
থাকে যদি ঘরে তোর প্রিয়তমা বউ ,
কেউ যদি ধরে তাকে বুকে টেনে নেয় চেপে
করবি নাকি তুই কভু ঘেউ ঘেউ ?
শোন্ রে জালিম ছেলে অবলা নারী ভেবে
করিস্ না জীবনে কখনো এ ভুল ,
নইলে খাবি ধরা পাবিনা কভু ছাড়া
দিতেই হবে তোকে ভুলের মাশুল ।
নারী নয় অবলা দেখবি নারীর খেলা
নারীকূলে জেগে উঠে প্রতিবাদী আহ্বান ,
পারবিনা শয়তান কাড়তে নারীর মান
তছনছ হয়ে যাবি হবি বলিদান ।