কর্নেল (অব.) অলি আহমদের রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ছেড়েছেন তিন নেতা। মঙ্গলবার (২৬ জুন) তারা এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ বরাবর লিখিত চিঠি দিয়ে দল থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
তারা হলেন- আবদুল করিম আব্বাসী, মো. আবদুল্লাহ ও মো. আবদুল গণি। এরা সবাই একাধিকবার বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এলডিপি থেকে বেরিয়ে যাওয়া এ তিন তো এলডিপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন।
পদত্যাগের কথা কাছে স্বীকার করে নেত্রকোনা থেকে নির্বাচিত তিনবারের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল করিম আব্বাসী বলেন, ‘হ্যাঁ আমিসহ আরও দুই নেতা এলডিপি থেকে পদত্যাগ করেছি। মঙ্গলবার এলডিপির চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত চিঠির মাধ্যমে আমরা এলডিপির সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেছি।
তিনি জানান, আমার সঙ্গে এলডিপির অন্য দুনেতা (প্রেসিডিয়াম সদস্য) অধ্যাপক আব্দুল্লাহ ও আবদুল গণিও পদত্যাগ করেছেন।’
কি কারণে এলডিপি ছাড়লেন জানতে চাইলে বিএনপি দলীয় সংসদের হুইপ আবদুল করিম আব্বাসী বলেন, ‘একটি দল ছাড়তে তো অনেক কারণ থাকে। সব কথাতো বলা যায়ও না। তবে, দল পরিচালনায় কর্নেল অলির অগণতান্ত্রিক (স্বৈরাচারী) ব্যবস্থাও দল ছাড়ার অন্যতম কারণ। তাছাড়া, এলডিপিতে আমরা ছিলাম সিনিয়র সদস্য (নেতা)। আমিসহ পদত্যাগী অন্য দুজনও সিনিয়র নেতা, ভাইস-চেয়ারম্যান। আমরা বারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। আমি নিজে তিনবার সংসদ সদস্য ছিলাম। ছিলাম সংসদের হুইপ। অথচ একাদশ জাতীয় নির্বাচনে আমাদের কাউকে দলের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। তারা কয়েকজন মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করেছেন। এসবও দল ছাড়ার অন্যতম কারণ।’
এ বিষয়ে এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অলি আহমদ ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিমকে ফোন দেয়া হলেও তারা ফোন কেটে দেন।
পরে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘ওনারা গত নির্বাচনে দলের মনোনয়ন না পেয়ে অনেকটা নিষ্ক্রিয় ছিলেন। দলেও ওনাদের বড় কোনো ভূমিকা ছিল না। ওনারা পদত্যাগ করলে এলডিপির কোনো অসুবিধা নেই।’