হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ও হাটহাজারী মাদরাসার সহযোগী পরিচালক আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন,হক্কানী ওলামায়ে কেরাম নবীগণের ওয়ারিশ;উত্তরসূরী। ওলামায়ে কেরাম দ্বীনের খাদেম, দেশ ও জাতীর কল্যাণকামী। সর্বস্তরের মানুষ ওলামায়ে কেরামকে ইজ্জত সম্মান করে। তাই মুসলিম উম্মাহর ঈমান আকিদা রক্ষায় ওলামায়ে কেরামকে অতন্দ্র প্রহরী’র ভূমিকা পালন করতে হবে।
রবিবার (৩০ জুন) জাতীয় ওয়ায়েজীন পরিষদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আল্লামা বাবুনগরীর কামরায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁদেরকে বিশেষ নসিহতকালে এ সব কথা বলেন তিনি।
আল্লামা বাবুনগরী আরো বলেন, ওলামায়ে কেরামের সাথে এ দেশের মানুষের রয়েছে গভীর মিতালী। ওলামায়ে কেরাম জাতীর কর্ণধার,সকলের আস্থার পাত্র।ওলামায়ে কেরামকে দেশের মানুষ প্রাণাধিক মুহাব্বাত করেন।মৌসুমের প্রথম ফল,নতুন গাভীর দোহনকৃত দুধ ওলামায়ে কেরামের খেদমতে হাজির করেন।ওলামায়ে কেরামের প্রতি সাধারণ মানুষের অকৃত্তিম এ ভালবাসার কোন তুলনা হয় না।
বিশেষ করে ওয়ায়েজীন (বক্তা) দের প্রতি সর্বস্থরের মানুষের ভালবাসা আরে অনেক বেশি। লাখ লাখ মানুষ বক্তাদের ওয়াজ শ্রবণ করে। তাই অন্তরে দরদ নিয়ে, কুরআন সুন্নাহর আলোকে ওয়াজ বয়ান করতে হবে।এবং মুসলিম উম্মাহর ঈমান আকিদা রক্ষায়, দেশ ও জাতীর কল্যাণে ওয়ায়েজীনে কেরাম নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
বুখারী শরীফের উদ্ধৃতি দিয়ে বিশিষ্ট সাহাবী হযরত হুজায়ফা রাদি.এর অমূল্য নসিহত উল্লেখ করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, হুযায়ফা রাদি.ওলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে বলেছেন,হে আলেম সমাজ!আপনারা হক্ব ও ন্যায়ের উপর অটল অবিচল থাকুন আপনারা ঈমান আকিদা ইত্যাদির ক্ষেত্রে অন্যদের তুলনায় অনেক বেশী অগ্রগামী হয়ে গেছেন, আপনাদের যদি সামান্য তম পদস্খলন হয়ে যায় তাহলে আপনারা গোমরাহ হয়ে যাবেন এবং মুসলিম উম্মাহর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যাবে। তাই খুব সতর্কতার সাথে পথ চলতে হবে।
ওলামায়ে কেরাম ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোন ইসলাম বিরোধী অপশক্তি মাথা তুলে দাঁড়ানোর সাহস পাবে না।সমাজে ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ড ও ফিৎনা ফাসাদের বিরুদ্ধে ওয়ায়েজ (বক্তাগণ) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের আহব্বান জানান সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলেম ও হেফাজত মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী।
এ সময় অন্যাদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি মাওলানা মুজিবুর রহমান চাঁদপুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আজহারুল ইসলাম আজমী, মহাসচিব মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ন সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী রফিউদ্দিন মাহমুদ নূরী, মাওলানা শেখ হামিদুর রহমান সাইফী মুফতি আলী হায়দার গাজীপুরী, মুফতী মুয়াবিয়া আল হাবিবী, মুফতী মাহবুবুর রহমান নবাবগঞ্জী, মুফতি মাহবুবুর রহমান জিহাদী, মাওলানা মাজহারুল ইসলাম রাশেদী, মুফতি আলাউদ্দিন যশোরী গাজী সিদ্দিকুর রহমান, মুফতি আবুল বাশার রেদওয়ান ও মুফতি লুৎফুর রহমান মারুফ প্রমূখ।