ঘানার এক সংসদ সদস্য খ্রিস্ট ধর্ম থেকে ইসলাম গ্রহণ করেছেন। তার বর্তমান নাম রাখা হয়েছে শেখ ওসমান। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ঘানা ওয়েবের সূত্রে গত ৯ই জুন এই সংবাদ প্রকাশিত হয়।
সংসদ সদস্য কেনেডি আগিয়াপঙ্গ জানান, ইসলাম ধর্মে শান্তির বার্তা খোঁজ পেয়েছেন তিনি, এবং এটি আবিষ্কারের পর তিনি ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
তিনি জানান, পাকিস্তানে তার অবস্থানকালীন সময়ে সেখানকার মানুষের সাথে মেলামেশার পর তিনি নিশ্চিতভাবে বুঝতে পারেন যে ইসলাম যথার্থই শান্তির ধর্ম এবং তা উন্নতির দিকেই ধাবিত করে।
এর কিছুদিন আগে তিনি প্রকাশ করেছিলেন, ২০১২ সালে তার গ্রেফতারির পর থেকে মুসলমানদের প্রতি এক গভীর ভালোবাসায় জড়িয়ে পরেছেন।
তিনি জানান, তার গ্রেফতারির পর মুসলমানরা আশিয়াম্যানে তার কোল্ড স্টোর উত্তেজিত জনতার হাত থেকে রক্ষার জন্য তার আশে পাশে কফি শপ তৈরি করেছিল।
তিনি বলেন,
“আমি সত্যিই আপ্লুত, আশিয়াম্যানের মুসলমানরা আমার স্থানে আমার কোল্ড স্টোর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল।”
২০১২ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ঘানার মোট জনসংখ্যার ৪৫ শতাংশ মুসলমান।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের তথ্য মতে, আগায়াপং কিছুদিন পাকিস্তানে ছিলেন। সেখানে থেকেই মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে বসবাস করে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেছেন, ইসলামধর্ম প্রকৃতপক্ষে শান্তির ধর্ম।
আগায়াপং সংবাদমাধ্যমকে জানান, ২০১২ সালে তাকে গ্রেপ্তারের পর যখন কিছু মুসলিম যুবক দোয়া-প্রার্থনার মাধ্যমে তার মুক্তি কামনায় বিভিন্ন রকমের চেষ্টা করেছিলেন। তখনই মুসলমানদের প্রতি তার গভীর প্রেম বিকাশ পেয়েছিল। আর তখন তিনি ইসলামের প্রতি আরো গভীরভাবে আকৃষ্ট হন।
এদিকে ২০১২ সালের ঘানা স্ট্যাটিকালিকাল সার্ভিসের আদমশুমারি অনুযায়ী ঘানাতে মুসলমানদের সংখ্যা ৪৫ শতাংশ। এসব মুসলিম স্থানীয় আকন জাতি ছাড়াও অন্য জাতি থেকে ইসলামে দীক্ষিত হয়েছেন।
মুসলমানরা উত্তর ঘানাতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। কারণ ঘানায় ইসলামের আগমন হয় দশম শতাব্দীতে আর ১৫ তম শতাব্দীতে। খ্রিস্টধর্ম ঘানায় প্রবেশের অনেক আগেই দেশটিতে ইসলামের আলো ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলোর মতো এখানে দেশ বিভাজনকারী জাতিগত সংঘাত তেমন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি।
খ্রিস্ট ধর্ম প্রবেশের বহুপূর্বে ঘানায় দশম শতকে প্রথম ইসলাম প্রবেশ করে। বর্তমানে ঘানার অধিকাংশ মুসলমানই দেশটির উত্তরাঞ্চলে বসবাস করছেন।
উৎসঃ ইসলামী বার্তা